গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় দুই বছর বয়সি ছোট বোনের ওপর রাগ করে খাদিজা আক্তার (১১) নামে এক শিশু আত্মহত্যা করেছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদিজা আক্তার নরুন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে স্থানীয় স’মিল মিস্ত্রি আওলাদ শেখের মেয়ে।
নিহতের মা লাইলি আক্তার জানান, দুপুরে খাবারের পর খাদিজা তার দুই বছর বয়সি ছোটবোন হাজেরার সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে রাগারাগি করে। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনটি রেখে দেয় সে। তার কিছুক্ষণ পর পাশের বাড়িতে খেলতে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে খাদিজা। তাকে আমি নিষেধ করলে আমাকে শুয়ে থাকতে বলে। পরে আমি চার মাসের রহিমা ও দুই বছরের হাজেরাকে ঘরে ঘুম পাড়াতে যাই।
পরে ঘুম থেকে উঠে খাদিজাকে না দেখে তার খোঁজ নিতে যাই। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি গোসলখানার সামনে ছোট্ট চারা আমগাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে মেয়ে। পরে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দেয়।
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য গোলাম মস্তফা আখন্দ বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ওই শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ থানা এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে খাদিজা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তবে পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে নিহতের লাশ তার পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।